৭ই আগস্ট (রবিবার) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে প্যামপাস রেস্টুরেন্ট বিডি লিমিটেড, আহমেদ টাওয়ার (টপ ফ্লোর), ২৮-৩০ কামাল আতাতুর্ক এ্যাভিনিউ, বনানী, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, কিছু খাবার মোড়কীকরণে লেভেলিং প্রবিধানমালা লঙ্ঘিত, ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, ফায়ার লাইসেন্স নেই, পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, বিদেশি খাদ্য পণ্যে আমদানীকারকের প্রমাণক নেই, রান্না ঘরের ফ্লোর অপরিষ্কার, জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রদত্ত নিবন্ধন ও লাইসেন্স নেই, কলকারখানা অধিদপ্তরের নিবন্ধন নেই, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই, প্রিমিসেস লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ রুটি পাওয়া যায়, ফ্রিজ নোংরা, ডাস্টবিন খোলা, মাছির দৌরাত্ম, রান্না ও কাঁচা খাবার একত্রে ফ্রিজে রাখা হয়েছে ইত্যাদি। এ সকল অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী প্যামপাস রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান অনাদায়ে দায়িত্বরত ম্যানেজারকে ১ (এক) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়। প্যামপাস রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। প্যামপাস রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন ও ঘাটতি কাগজ পত্র অতিসত্বর সংগ্রহ করবেন। বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।”
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS